বিমানে নয়, সড়ক পথে দেশে ফিরতে চান স্বর্ণা

বিমানে নয়, সড়ক পথে দেশে ফিরতে চান স্বর্ণা

নেপালের কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনার শিকার কামরুন্নাহার স্বর্ণাসহ তার পরিবারের তিন সদস্যকে ছাড়পত্র দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ছাড়পত্র পেয়েই চিকিৎসকদের সড়ক পথে বাংলাদেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন স্বর্ণা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার স্বর্ণার পরিবারকে হাসপাতাল ত্যাগ করার ছাড়পত্র দেয় কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার পর আহতাবস্থায় তিনিসহ তার পরিবারের তিনজনকেই এই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এ ব্যাপারে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতালের অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ও বিমান দুর্ঘটনার রোগীদের কো-অর্ডিনেটর ড. রাজিভ রাজ মানান্দার বলেন, স্বর্ণার পরিবারের তিনজন বিমানে ভ্রমণ করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে স্বর্ণা বিমানে উঠতে খুব ভয় পাচ্ছে। সে সড়কপথে বাংলাদেশে ফিরতে চাইছে। আমরা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, তার শরীরের অবস্থা সড়কপথে ভ্রমণের উপযোগী নয়।

তিনি আরও বলেন, তার পরিবার প্লেনের টিকিট কাটার ব্যবস্থা করছে বলে শুনেছি। টিকিট হাতে পেলে শুক্রবার তারা দেশে ফিরতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করছি।

ড. রাজিভ বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় কেএমসি’তে মোট ১০ জন ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি নাগরিক, বাকি দুইজন নেপালি। বাংলাদেশিদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হচ্ছেন, ইমরানা কবির (৩০) এবং কবির হোসেন (৫২)।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ৫১ জন। ইউএস বাংলার বম্বারডিয়ার ড্যাশ কিউ ৪০০ বিমানটিতে মোট ৭১জন আরোহী ছিলেন। এতে বিমানের পাইলট ও ক্রুরা মারা যান। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ২০ জন। পরে হতাহতের উদ্ধার করে স্থানীয় কেএমসি হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল ও ওম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment